- Get link
- X
- Other Apps
Posted by
Tiki liki
on
- Get link
- X
- Other Apps
![]() |
আজকে আমাদের প্রিয় শহর কলকাতা আরো একটি রাস্তার নামকরণের গল্প বলব। তবে একজনের নামে দুটি রাস্তা রয়েছে আমাদের কলকাতায়। একটি লেন ও আরেকটি স্ট্রিট। তবে এই রাস্তাটির নাম হয়েছে ব্রিটিশদের একটি উপাধির নাম অনুসারে। আগে এই রাস্তার নামছিল জোড়াতলা স্ট্রিট, কিন্তু কর্পোরেশন 1879 সালে এই রাস্তার নামকরণ করে মার্কুইস স্ট্রিট আর মিসর খানসামা লেন নামকরণ করে মার্কুইস লেন 1889 - 90 সালে। কলকাতা খানসামাদেরখানসামাদের নামে রাস্তার কথা আলাদা করে ব্লগে বলা হয়েছে।
![]() |
| লর্ড রিপন ওরফে Marquis of Ripon |
এবার কথা হচ্ছে এইরকম নাম দেওয়া হল কেন ? সাধারণত ব্রিটিশ আমলে গভর্নর জেনারেল এবং ভাইসরয়দের নামে রাস্তার নামকরণ হতো এর উদাহরণ অনেক রয়েছে। সেইরকম এখানে ও হয়েছে একটি লেন ও রাস্তার নামকরণ হয়েছে যখন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় এবং গভর্নর জেনারেল হয়ে আসেন Marquis of Ripon ওরফে George Frederick Samuel Robinson. রিপন সাহেবের নাম কলকাতায় দুটো রাস্তা আছে একটা রিপন স্ট্রিট আর অন্যটা মার্কুইস স্ট্রিট। মার্কুইস হল একটি উচ্চতর পদ বা উপাধি Wikipedia অনুযায়ী "In the County of York, was a title in the Peerage of the United Kingdom" রিপন সাহেব 1827 সালের 24 অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন ফেডারিক জন রবিনসন এনার উপাধি ছিল "Earl of Ripon" আর তার কাকার উপাধি ছিল "Earl of Grey". মার্কুইস ওফ রিপন 1852 সালে তিনি লিবারেল পর্টির হয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গেছিলেন এবং বিভিন্ন পদ সামলে ছিলেন। এই পদ গুলি ছিল Under secretary for War, Under secretary for India, Secretary for War, Secretary for India, Lord President of the Council, Grandmaster of Freemasons. এখানে উল্লেখ্য যে Freemasons নিয়ে কলকাতায় একটি ক্লাব রয়েছে আর Freemasons ছিল একসময়ের গোপন সংগঠন। এবং শেষে ভারতের ভাইসরয় হয়েছিলেন। আর একটা কথা এখানে বলে রাখা দরকার যে রিপন সাহেব প্রথম এবং শেষ মার্কুইস উপাধি লাভ করেন।
লর্ড রিপন কিন্তু ভারতের ভাইসরয় হয়ে এসে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন, যার ফলে ভারতের জনগণ মন জিতে নিয়েছিলেন। লর্ড রিপন ভারতের ভাইসরয় হয়ে আসার আগে, ভারতের ভাইসরয় ছিলেন লর্ড লিটন, তিনি একটি আইন প্রনয়ণ করেন তার নাম ছিল 'Vernacular Press Act'. লর্ড লিটন এই কালো কে ব্যবহার করে ভারতীয় সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কেড়ে নেন। এই আইনের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদপত্র গুলি সরকারের সমালোচনা না করতে পারে সেই ব্যাবস্থা করেন, এছাড়া ভারতীয় সংবাদপত্রের সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। কিন্তু রিপন সাহেব ভাইসরয় হয়ে আশার পর এই কালা আইন বাতিল করেন যার ফলে ভারতের জনগণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তাছাড়া রিপন সাহেব আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন, 1883 সালে ভাইসরয় থাকাকালীন তিনি ইলবার্ট বিল তৈরি করেন। এই বিল আসার আগে ইউরোপিয় কোনো বন্দীর বিচার, কোনো ভারতীয় বিচারপতি করতে পারতো না। কিন্তু ইলবার্ট বিলে এনে তিনি বিচার ব্যাবস্থার বৈষম্য দূর করা চেষ্টা করেছিলেন। এই বিলে বলা হয়েছে ভারতীয় বিচারপতি ইউরোপীয় বন্দীদের বিচার করতে পারে। কিন্তু এর জন্য রিপন সাহেব ইউরোপীয় সাহেবের দের বিরোধীতার সম্মুখীন হন, যার ফলে আবার আইন সংশোধন করতে হয়। উল্লেখ্য যে Times পত্রিকা নিচে দেওয়া শিরোনামটি করেছিল।
![]() |
| মার্কুইস স্ট্রিট |
The Times had a leading article in which it pro- phesied that Lord Ripon was a lost man. লর্ড রিপন তৎকালীন ক্যালকাটা ইউনির্ভাসিটির চ্যানসেলার পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
1909 সালের জুলাই মাসের 9 তারিখে পরলোক গমন করেন।
কলকাতা এখন মনে রেখেছে Marquis of Ripon কে যার নামে দুটি রাস্তা এখনো রয়েছে কলকাতায় একটা মার্কুইস স্ট্রিট ও রিপন লেন।
ছবি সূত্র - internet
তথ্য সূত্র - A History of Calcutta's Streetsby P. Thankappan Nair




Comments