টাইটানিক জাহাজের শুরু থেকে শেষের কথা !

টাইটানিক জাহাজের poster


 আবার টাইটানিক, হ্যাঁ কথা বলছি কারণ, টাইটানিকের একটা ঘটনার কথা আগেই বলেছি সেই জন্য আবার টাইটানিক কথাটি বললাম । কদিন আগেই দেখালাম টাইটানিক সিনেমাটি আবার release করেছে with 3d। 


10 এপ্রিল 1912 সালে আর এম এস টাইটানিক জাহাজের যাত্রা শুরু হলো ।

এই জাহাজ টি নিয়ে সেই সময়ের সংবাদ পত্রে খুব মাতামাতি ছিল, হওয়ার ও কথা , কারণ সেই সবথেকে বড় জাহাজ ছিল টাইটানিক । টাইটানিক লম্বায় 269 মিটার আর 53 মিটার উঁচু ছিল এই জাহাজ । খালি তাই নয় এই জাহাজে প্রমদ ও জাঁকজমকের ব্যাবস্থা ছিল চোখ ধাঁধানো । ঐ সময়ে জাহাজ তৈরি করতে খরচ হয়েছিল 7.5 million dollars এখন দিনে হিসাব করলে দেখা যাবে 400 Million dollar এর বেশি । জাহাজের ভিতরে জাঁক জমক ছিল এখন দিনের ফাইভ স্টার হোটেলে মতোন, একটা লাইব্রেরী, টাইটানিক জাহাজে ছিল ওরনেট হুদ প্যানাল, জানালার কাঁচ ছিল স্টেন glass এর আর ছিল দুটো বড় বড় কাঠের সিঁড়ি, swimming pool যেখানে জল গরম থাকতো , Turkish Bath, Electric Bath, জিম, স্কোয়াস খেলার যায়গা, চারটে রেস্টুরেন্ট, দুটো সেলুন ।

টাইটানিক জাহাজের ভিতরের দৃশ্য 


 তখন দিনে এই সব কিছু একটা জাহাজের মধ্যে ভাবলেই অবাক হয়ে যেতে হয় । এই জাহাজে এতটাই সুরক্ষার ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছিল যে, এই জাহাজ কখনো ডুবে যাবে না । কিন্তু সেটা হল কই, প্রথম যাত্রা শুরু হওয়ার পরই টাইটানিক ডুবে গেল । এই টাইটানিক জাহাজ তৈরি করেছিল WHITE STAR LINE বলে একটি কোম্পানি, এই কোম্পানির  ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন ফিলিপ ফ্রেঙ্কলাইন , ইনি জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন যে টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাবে না । এই জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিলেন এডওয়ার্ড জন স্মিথ। 

WHITE STAR LINE, PHILP FRANKLIN 


টাইটানিক যাচ্ছিল ইংল্যান্ডের সাউথএম্পেন থেকে আমেরিকায়, যাত্রা শুরু দুদিন মধ্যেই মানে 12 এপ্রিল 1912 সালে টাইটানিক পেল তার প্রথম বরফ সতর্কতা । মানে যেই আটলান্টিক মহাসাগর দিয়ে, টাইটানিক যাচ্ছে সেখানে বড় বড় বরফের পাথর রয়েছে । কিন্তু সেই সতর্কতা কথা শুনেও টাইটানিক থামেনি, এই সতর্কতার পর টাইটানিক তার যাত্রাপথ দুবার বদলে ছিল এই বড় বড় বরফের পাথরের সাথে ধাক্কা যাতে না লাগে । আসলে যখন সমুদ্রে জাহাজ চলাচল  হয় তখন একে অপরের জাহাজ গুলি রেডিও কানেকশন মারফত কানেক্টেড থাকে যাতে অন্য কোন জাহাজের ধাক্কা লাগলে বা কোন কিছু হলে জানাতে পারে । দুবার যাত্রাপথ বদলালেও, টাইটানিক তার গতিপথ কমায়নি । টাইটানিকের গতি ছিল, ঘন্টায় 40 কিলোমিটার ছিল। এর ঠিক দুদিন পর 1912 সালের 14 এপ্রিল, সাতটা বরফ সর্তকতা পেয়েছিল টাইটানিক ।

জাহাজের ক্যাপ্টেন EDWARD SMITH


 কিন্তু ক্যাপ্টেন স্মিথ এবং তার জাহাজে ক্রু এই সতর্কতার উপর পাত্তা দেয়নি, একই গতি রেখে টাইটানিক চলতে থাকে ।  এই 14 এপ্রিল, খুব মেঘ ডাকছিল ফলে চাঁদের আলো দেখা যাচ্ছিল না। সেদিন ঠান্ডা খুব বেশি ছিল তা আবার রাত্রে তো আরো বেশি, যেকোন জাহাজেই crows nest বলে একটা জিনিস থাকে অনেকে লুকআউট পয়েন্ট বলতে পারে, একজন ক্রু মেম্বার থাকে যে নজর রাখে,  যে রাস্তায় কোন কিছু আসছে কিনা বা কোন ট্রাফিক আছে কিনা জাহাজে যাত্রার পথে, অনেক উঁচুতে এই জায়গাটা হয়ে থাকে যাতে সমুদ্রের উপর নজর রাখা যায় কিন্তু সে এত ঠান্ডা ছিল যে এবং খুব ঠান্ডা হাওয়া বইছিল ছিল সমুদ্রে, যার ফলে কোন মানুষের থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে এবং চোখের থেকে জল বেরোচ্ছিল, এখানেই ওই পোস্টটার কথা বলতে চাই যে টাইটানিক জাহাজে দূরবীন ছিল?!

  যা বলছিলাম ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত 11:39 ফ্রেডিক ফ্রিড ছিল  ঐ লুকআউট পয়েন্ট, এবং তৎক্ষণাৎ খবর দেয় যে জাহাজের রাস্তা ঘুরাতে কারণ সামনে বরফের পাহাড় ।

Frederick Fleet


 সেই খবর পেয়ে, জাহাজে ফার্স্ট অফিসার নাম উলিয়াম মারডক বলেন জাহাজ বা দিকে ঘোরাতে, কিন্তু ততক্ষণে দেরী হয়ে গেছিল , ঠিক 11 বেজে 40 মিনিটে হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে টাইটানিক জাহাজের । এই হিমশৈলের এতটাই বড় ছিল যে একটা ফুটবল মাঠের তুলনা করা হয়। এই হিমশৈলটির দৈর্ঘ্য ছিল 200 × 400 .



এই হিমশৈলটি সঙ্গে টাইটানিকের bow এর ধাক্কা লাগে ছবি তে দেখানো হয়েছে । এই ধাক্কার ফলে অনেক গর্ত হয়ে যায় টাইটানিক জাহাজে । ধাক্কা লাগার পর সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যায়নি, কারণ অত বড় জাহাজ ডুবতে সময় লেগেছিল, এর জাহাজের ক্যাপ্টেন স্মিথ ও জাহাজ ডিজাইনার টথমাস এন্ড্রুজ, দেখতে বসলেন জাহাজ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । 

THOMAS ANDREWS


দেখেই চমকে উঠেন তারা আর বলে এতো ডুবেই যাবে । কিন্তু এই জাহাজ তো ডুবে যাবে না বলা হয়েছিল । খুব সুরক্ষিত ছিল এই জাহাজ, দুটো গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল ডবল বটম হাল ছিল, দুটো লেয়ার ছিল হাল এ, একটা যদি ভেঙে তাহলে আরো একটা সামলে নেবে, আর দ্বিতীয়টা ছিল 16 টি জলরোধী বগি ( watertight compartment ) উদাহরণ হিসেবে বলা যায় 4 টি বগি জলে ভরে যায়, তাও জাহাজের কোনো অসুবিধা হবে না । কিন্তু হিমশৈল সাথে ধাক্কাটা লাগে সেইটা আসলে জাহাজের সাইডে, যার ফলে ডবল লেয়ার হল কোনো কাজেই আসলো না । 





আর 16 টা watertight compartment এর মধ্যে 6 টাই জল ভর্তি হয়ে যায়, এতটাই বড় ধাক্কা ছিল টাইটানিক জাহাজের এর । রাত তখন ঠিক বারোটা, জাহাজের captain স্মিথ বলেন যে একটা ডিসট্রেস কল করুন রেডিও তে , যাতে আশেপাশের জাহাজের কাছে সিগন্যাল পৌঁছায় তারা সাহায্য করতে পারে । 

Jack Philips

সিনিয়র রেডিও অপারেটার জ্যাক ফিলিপস রেডিও সিগন্যাল পাঠাতেই থাকেন, শেষ পর্যন্ত বারোটা কুড়ি মিনিটে RMS Carparthia জাহাজ রেডিও সিগন্যাল শুনতে পায়, এবং টাইটানিক দিকে জাহাজ ঘুরিয়ে দেয় । প্রবলেম ছিল একটাই যতই কাছে থাকুক এই জাহাজটি কিন্তু থেকে এ দূরত্ব 107 ছি কিলোমিটার, ওই জাহাজটি নিজের টপ স্পিডে চললেও তাদের কাছে যেতে সময় লাগবে সাড়ে তিন ঘণ্টা।  কে টাইটানিক ক্রু মেম্বারা জাহাজ থেকে বিভিন্ন রকেট ( একধরনের  SOS যা দূর থেকে দেখা যাবে )  জিনিস আকাশে ফাটায়, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই সময় সমুদ্রে আর কোন জাহাজ ছিল না শুধুমাত্র RMS Carparthia ছাড়া । এ সময় ক্যাপ্টেন স্মিথ হুকুম দেয় যে সব যাত্রীকে লাইফ বোটে জাহাজ থেকে বের করার, কিন্তু অবাক কান্ড হচ্ছে যে, যাত্রীরা কেউ ভয় পাচ্ছেন না যে জাহাজ ডুবতে দিয়ে বসেছে, সবার ধারণা ছিল যে, টাইটানি কখনোই ডুবে যাবে না, তাই চিন্তা করার কোন কারণ নেই । এই কারণেই প্রথম লাইফবোটে যে যাত্রী নামানো হয়েছিল তার সংখ্যা ছিল 28 জন কিন্তু, ওই লাইফ বোর্ডের ক্ষমতা ছিল 65 জনকে নিয়ে যাওয়ার । তো কিন্তু সময় যত বাড়ছে, ততই ঐ 16 টা জলরোধী বগি জলে ভরে যাচ্ছিল, এইবার এই যাত্রীরা বুঝেছিল যে জাহাজ ডুবছে, কারণ জাহাজ একদিকে বেঁকে গেছিল, রাত একটার সময় টাইটানিকের সামনের অংশ জলের তলায় চলে গেছিল, আর পেছনের অংশ জলের বাইরে বেরিয়ে গেছিল । 


তখন যাত্রীরা নিজেদের মধ্যে, মারামারি করছিল লাইফবোটে বসার জন্য কিন্তু টাইটানিক এ লাইফ বোটের সংখ্যা ছিল কম মাত্র কুড়িটা। আর যাত্রী ছিল আরো অনেক বেশি, এই কথা বলছি কারণ কুড়িটা লাইফ বোটে মাত্র 1200 জন বসতে পারে, কিন্তু যাত্রী সংখ্যা ছিল, 2200 র বেশি। রাত দুটো বেজে পাঁচ মিনিটে, শেষ লাইফ বোট টাইটানিক ছাড়লো । তখনো টাইটনিকে 1500 এর বশি যাত্রী ছিল। কে কোন কোন যাত্রী জোর করে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে লাইফ বোটে গেছিল , আবার কেউ কেউ নিজেদের ভাগ্য মেনে নিয়েছিল মেনে নিয়ে জাহাজের মধ্যেই ছিল । 

প্রত্যক্ষকারীদের মতে , দুটো বেজে কুড়ি মিনিটে টাইটানিক দু টুকরো হয়ে যায়। তিন ঘন্টার কম সময় লেগেছিল এই টাইটানিককে ডুবে যেতে, যেই 1500 লোক জাহাজের মধ্যে ছিল তারা জাহাজের সঙ্গে তলিয়ে গেল আর যারা সাঁতার জানতো তারা হাইপোথারমিয়াতে মারা গেল কারণ সেই সময় জলের তাপমাত্রা ছিল - 2 ডিগ্রি সেলসিয়াস । বলা হয় যে  টাইটানিকের ক্যাপ্টেন স্মিথ সাহেব, জাহাজের সঙ্গে ছিলেন, আবার অনেকের ধারণা তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন । RMS Carparthia এ জাহাজটি ভোর সাড়ে তিনটের সময় যেখানে টাইটানিক ডুবে গেছিলো সেখানে পৌঁছায়, যারা লাইফ বোটে করে, সমুদ্রে নেমেছিল তাদেরকে এই জাহাজটি উদ্ধার করেছিল। 


এই টাইটানি দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন তথ্য উঠে আসে, যার মধ্যে অন্যতম হলো টাইটানিকের থেকে মাত্র ৩৭ কিলোমিটার দূরে একটি জাহাজ ছিল ।

ওই জাহাজটির নাম ছিল S.S. California, জাহাজটি টাইটানিক ডোবার এক ঘন্টা আগে টাইটানিক বার্তা পাঠিয়েছিল, যে সমুদ্রে অনেক হিমশৈল আছে সাবধানে জাহাজ চালাতে ।  তাহলে কেন আসলো না এই জাহাজটি টাইটানিককে উদ্ধার করতে, জানা যায় যে রাত 11:15 টার সময় এই জাহাজের রেডিও অপারেটর জাহাজের ভিডিওটি অফ করে দেয় এবং জাহাজ আর এগোয় না এত হিমশৈলী সমুদ্রের মধ্যে সেই জন্য তারা আর এগোয় নি । 

Stanley Lord


আরো একটা বলেছে তথ্য বলছে যে, S.S. California র মেম্বার আকাশে রকেট ফাটানো  দেখে তাদের ক্যাপ্টেন কে জানায় কিন্তু, S.S. California জাহাজের ক্যাপ্টেন স্ট্যানলি লিওর্ড বলেন , ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই, এইটা কোনো SOS না টাইটানিকের যাত্রীরা আনন্দ করছে , সেই সময় যদি ওই জাহাজটি টাইটানিক এর কাছে পৌঁছে যেতো তাহলে অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচত , পরের দিন যখন রেডিও অন করে ওই জাহাজটি এবং তৎক্ষণাৎ টাইটানিককে ডুবে যাওয়ার জায়গায় পৌঁছায় তখন দেখে আর কোন কিছু করার নেই,  সেই জন্য অনেকেই S.S. California জাহাজের ক্যাপ্টেন স্ট্যানলি লিওর্ড দায়ী করে থাকেন। এতবড় দুর্ঘটনার জন্য কোন একজন মানুষকে দায়ী করা যায় না, দুর্ঘটনার পেছনে আরো অনেক কারণ আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো, লাইফ বোটের অভাব, দ্বিতীয় তো টাইটানিক যে চারাচ্ছিল তার , তিনি হলেন রর্বাট হিচেন এর , ডেক অফিসার নির্দেশ দেয় যে , জাহাজ কে বাঁদিক ঘোরানোর কিন্তু, হিচেন ভুল করে ডান দিকে ঘোরায় জাহাজ কে। 

Robert Hichens 


আরো একটা কারণ হলো যে টাইটানিককে ক্যাপ্টেন স্মিথ সাহেবের উপর চাপ সৃষ্টি, জোসেফ ব্রুস যিনি চেয়ারম্যান আর এম.ডি ছিলেন  WHITE STAR LINE কোম্পানির যারা টাইটানিক তৈরি করেছিল, তিনি ক্যাপ্টেন কে নির্দেশ দিয়েছিল কোনো ভাবেই যাতে, জাহাজের স্পিড না কমানো হয়, তারা চেয়েছিল ছয় দিনের মধ্যে গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে পারে, একটা রেকর্ড গড়তে চেয়েছিল সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে ধনী আর সবচেয়ে দ্রুত জাহাজ । আরো জানা যায় যে 14 এপ্রিল স্মিথ সাহেব, জোসেফ ব্রুস কে জানায় যে  হীমশৈলের ওয়ার্নিং আসছে, তাই আমাদের জাহাজের স্পিড কমানো হবে, কিন্তু ঐ কাগজ টা জোসেফ সাহেব নিজের পকেটে রেখে দেয়, উনি জাহাজের স্পিড একই রাখার নির্দেশ দেয় । 

Joseph Bruce


তাহলে বোঝাই যাচ্ছে একজন কে দায়ী করার কোনো কারণ থাকে না। আর দুরর্ঘটনার পর অনেক কিছু বদলে যায় এবং অনেক নতুন নিয়ম তৈরি সেগুলি আর বিস্তারিত বলছি না । এর পর প্রশ্ন ওঠে টাইটানিক জাহাজে কি খুঁজে পাওয়া গেছে ? হ্যাঁ পাওয়া গেছে, টাইটানিক কে সমুদ্রের তলায় খুঁজতে 70 বছর সময় লেগেছিল । 1985 সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার সমুদ্র বিশেষজ্ঞ রর্বাট ব্যেলেড আর আরো এক ফরাসি সমুদ্র বিশেষজ্ঞ খুঁজে বের করেছিল । 

Robert Ballard 


সমুদ্রের 3,800 কিলোমিটার তলায় পাওয়া টাইটানিক জাহাজ । বলা হয়েছে যে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু এই জাহাজ কে নিশ্চিহ্ন করে দেবে, 2030 মধ্যে। 110 বছর পরেও এখন এই জাহাজ নিয়ে বিভিন্ন সময় মানুষ কে ভাবিয়ে তোলে। 

বর্তমানে টাইটানিক মিউজিয়াম এই সব অভিজ্ঞতা উপভোগ করা যায় ।

বর্তমান টাইটানিক 


ছবি সূত্র - Internet

তথ্য সূত্র - wikipedia

https://www.britannica.com/topic/Titanic/Aftermath-and-investigation


আরো পড়ুন - https://www.chaloamaragalpakori.com/2023/02/blog-post_28.html

Comments