ভয়ের কুমড়োর দিন মানে হ্যালোইন !

 

সেই কুমড়ো

31 অক্টোবর সারা বিশ্বে হ্যালোইন ফেস্টিভ্যাল পালন করা হয়। আসলে এই আমেরিকা ও ইউরোপের মানুষ জন তাঁদের বাবা , ঠাকুর্দা, তাঁর বাবা মানে পূর্ব পুরুষদের মনে করেন ।
আবার হ্যালোইন উদযাপন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে হয় । "হ্যালোইন" বা "হ্যালোউইন" শব্দটি স্কটিশ শব্দ " অল হ্যালোজ ইফ থেকে এসেছে । মনে করা হয় 1745 সালে এর উৎপত্তি,  "হ্যালোউইন" মানে পবিত্র সন্ধ্যা। উনিশ শতক থেকে আমেরিকায় 
National Day পালিত হচ্ছে। 1920 থেকে 1950 সালের ভেতরে হ্যালোইন ফেস্টিভ্যাল ব্যাপক ভাবে বাড়তে থাকে। কেল্টিক (catholic) 
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মনে করা হয়, অক্টোবর শেষ দিন মানে 31 তারিখে জীবতদে সঙ্গে মিলিত হয় হন মৃত রা সেই দিন জাগতিক সবকিছু মিলে যায় ভৌতিক সবকিছুর সঙ্গে,
31 সন্ধ্যা কে বলা হয় অল হ্যালোস ইফ ।  
অষ্টম শতাব্দীতে পোপ জর্জ নভেম্বর প্রথম দিন সেন্টস ডে হিসেবে ঘোষণা করেন। হ্যালোইনের দিন খারাপ ভূতেরাও থাকে তাদের থেকে বাঁচতে বাড়ির বাইরে কুমড়ো রাখা হয়। কিন্তু স্কটিশরা ব্যাবহার করতো শালগম কিন্তু আমেরিকায় শালগম চাষ হতো না তাই শালগমের বদলে কুমড়ো ব্যাবহার হয় ।
শালগম


 কালী পুজোর আগের যেমন ভূত চতুর্দশী পালন হয় তেমনি ওখানে হয় হ্যালোইন । হ্যালোইনের দিনে বাচ্চারা বিভিন্ন ভয়ের কস্টিউম পরে বাড়িতে বাড়িতে ঝুড়ি নিয়ে আর বলে trick or treat ! তখনকার সময়ে 
স্কটল্যান্ডে তরুণরা গিজিং নামে একটি ঐতিহ্যে অংশ নিত , সেই তরুণ রা বিভিন্ন পোশাক পরে নাচ গান কৌতক দেখাতো যা Trick এর ফলে তারা পেত বিভিন্ন উপহার যেমন চকলেট, ফল ইত্যাদি । আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 20 শতকের Guising ঐতিহ্য কে ফিরিয়ে আনা হয় , 1951 সালে জনপ্রিয় কমিকস পিনাটস দেখানো হয়েছিল, 


আবার 1952 সালে ডিসনির জনপ্রিয় চরিত্র ডোনল বাক ও তার তিন ভাগ্নে হুই , ডিউই , লুইয়ের দেখানো হয়েছিল।  

ছবি সূত্র - internet

Comments