- Get link
- X
- Other Apps
Posted by
Tiki liki
on
- Get link
- X
- Other Apps
Representational image | A cholera patient being given oral rehydration solution (ORS)
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যখন চলছিল তখন সাধারণ মানুষকে আরেকটি সমস্যা নাজেহাল করছিল সেটা হলো কলেরা রোগ । এই রোগের ফলে শরীরে জল একদম কমে যায় তাকে নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য বাইরে থেকে স্যালাইন দেওয়া হয় । আয় কিন্তু ঐ সময় ইন্টার ভেনাস পদ্ধতির মাধ্যমে স্যালাইন দেয়া হতো। কিন্তু সবার পক্ষে সেটা সম্ভব নয় এই সময় একজন বাঙালি রিসার্চার দিলীপ মহলানাবিশ দিনরাত সার্চের মাধ্যমে পদ্ধতি ইন্টার ভেনাস পদ্ধতির সহজ উপায় খুঁজছিলেন শেষমেষ হাতের কাছে পড়ে থাকা নুন আর চিনি সমপরিমাণ জলের সঙ্গে মিশিয়ে এই রোগের প্রকোপ এই রোগের প্রকোপ কমানো যায় বনগাঁ বডার এগিয়ে তা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন ডাক্তার মহলানাবিশ ।
ডা: দিলিপ মহলানাবিশ
আবার একই সময়ে ওপারের ডাক্তার রফিকুল ইসলাম একই উপায়ে বেছে নিয়েছিলেন।
ডা: রফিকুল ইসলাম
কিন্তু ও আর এস এর যাত্রা এখনো অনেক বাকি ছিল অনেকে তো আবার একে ভারতবর্ষের ব্ল্যাক ম্যাজিক বলে তাগাদা দিয়েছিলেন এই সময় এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ডাক্তার মহলানাবিশের শিক্ষক ধীমান বড়ুয়া । সেই সূত্রেই ওআরএস এর কাজের প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন তিনি ।
ডা:ধীমান বড়ুয়া
World health organisation অধিনে 1978 সালে ডায়রিয়া গবেষণা সংস্থা গড়ে তোলেন ধীমান বড়ুয়া । ধীমান বড়ুয়ার চেষ্টাই চেষ্টায় হাজার 1980 সালে ওআরএস কে স্বীকৃতি দেয় World health organisation. WHO এর উদ্বাস্তু শিবির গুলোতেও এই প্রাণদায়ী ওয়ারের ব্যবহৃত হয় । আছে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে নব্বইয়ের দশকে ডায়রিয়ার কারণে যেখানে একশো কুড়ি লাখ মানুষের মৃত্যু হত 2010 সালে তা সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 10 লাখের নিচে । এইসব কৃতিত্বের প্রাপ্য তিনজন দিলীপ মহলানাবিশ, রাফিকুল ইসলাম এবং ধীমান বড়ুয়া তিনজনই কিন্তু বাঙালি ।
ছবি সূত্র - internet




Comments