সাইকেল চড়া


 

সালটা 1819 সমাচার দর্পণ পত্রিকা খবর দেয় এক নতুন গাড়ির, গাড়ি চালাতে লাগেনা ঘোড়া বা
অন্য কোন বাহন । প্যাডাল দেওয়া সাইকেল অবশ্য তখনও তৈরি হয়নি জার্মানি, ব্রিটেনে, ফ্রান্সে জনপ্রিয় এই বাহন এর আরো 50 বছর পর কলকাতায় সাইকেলের আমদানি করা হয়‌‌ । 1870 খ্রিষ্টাব্দে সুলভ সমাচার পত্রিকায় লেখা হয় বছর "দুই হইলো কলিকাতায় দুই চাকার ও তিন চাকার এক রকম গাড়ি আসিয়াছে যাহার উপর চড়িয়া পা নড়াইলে গাড়ির মতো দৌড়ায়" ‌। 1886 খ্রিষ্টাব্দের 13 সেপ্টেম্বর সাইকেলে চড়ে কলকাতায় আসেন টমাস স্টিভেন্স । তাকে দেখতে ময়দানে ভিড় জমায় ছেড়ে ছোকরারা জুড়ে সেদিন সাজ সাজ রব কলকাতাবাসী প্রেমে পড়ে যায় দু চাকার এই ছিপছিপে গাড়িটা ‌।

 

     

‌ ‌        হেমেন্দ্র মোহন বোস


একসময় কলকাতায় জনপ্রিয় ছিল পেনিফান্দিং সাইকেল প্যাল্ডেল দেওয়া এই সাইকেলের সামনের চাকা ছিল বেশ বড় আর পেছনের চাকা ছিল  ছোট ।  কলকাতার অভিজাত শ্রেণীর মধ্যে সাইকেল বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে শোনা যায় রবীন্দ্রনাথের বড় দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ সাইকেলে চড়ে চৌরঙ্গীতে হাওয়া খেতে যেতেন । 1897 খ্রিষ্টাব্দে কলকাতাতেও তৈরি হয় সাইকেলিস্ট অ্যাসোসিয়েশন 1930 খ্রিস্টাব্দে বাঙালি ব্যবসায়ী হেমন্দ্র মোহন বসু তৈরি করেন এইচ বোস এন্ড কোম্পানির সাইকেলস ‌। হেমেন্দ্র মোহন একাজে সাইকেল চালানোর শিখেছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর স্ত্রী অবলা বসু ,প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, নীলরতন সরকার , নির্মালা দেবি । দেখতে আভিজাত্যের সীমানা ছাড়িয়ে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছেযায় দুচাকার সাইকেল ।  জগদীশচন্দ্রের কথায় "আমাদের পুষ্পক রথ ঘুরে বেড়ায় তিলোত্তমা কলকাতা" 

ছবি সুত্র - internet

তথ্য সুত্র - https://www.prohor.in/history-of-cycle-in-old-kolkata

Comments