কেক খাওয়া


 

ভালই শীত পড়েছে আর ক'দিন পরেই বড়দিন । আর বড়দিন মানেই কেক , বিভিন্ন রকমের কেক যেমন ফ্রুট কেক, চকোলেট কেক, ক্রিম কেক বর্তমান সময়ের কেক হল ওরেও কেক। এবার দেখা যাক এই " কেক " শব্দ টি কথা থেকে এসেছে , " অক্সফোর্ড ডিকশনারি" অনুসারে কেক শব্দ টি প্রথম ব্যাবহার হয় তেরোশ শতকে । 

" কাকা " নামের প্রাচীন নর্স শব্দ থেকে

কেকের উৎপত্তি। এই কাকা ছিল চ্যাপটা রুটি । ইতিহাস বলছে ইউরোপীয়রা কেক বানাতে জানত, তবে ওই কেক গুলো দেখতে লাগতো পাউরুটির মতো এগুলো মিষ্টি করার জন্য মধু মিশেনা হত, আবার কোন সময় ড্রাই ফ্রুটস যেমন কিসমিস, কাজুবাদাম, খেজুর প্রভৃতি দেওয়া হত।

ইতিহাস দেখলে জানা যায় সম্রাট কনস্টানটাইনের সময় ক্রিসমাসে কেক খাওয়া প্রথম চালু হয়। ক্রিসমাসের আগের দিন উপস রাখা হয় আবার বলা হয় থাকে 15 নভেম্বর থেকে ক্রিসমাসের আগেরদিন পর্যন্ত উপস রাখা হতো তারমেনে কিন্তু নির্জলা উপস নয় ভাল ভাল জিনিস যেমন মাছ , মাংস দুধের জিনিস বারণ ছিল । উপস ভাঙা হত প্লাম পরিজ খেয়ে । 

এরপর ষোল শতকে ওটমিলের বদলে ময়দা চিনি আর ডিম দিয়ে তৈরি হত সেদ্ধ প্লাম কেক ।  তখন দিনের ধনী ব্যক্তিদের কাছে ওভেন থাকত তখন তারা ইস্টারের স্টাইলে কেক তৈরি করতো। মিশরীয়রা অবশ্য অনেক আগেই কেক বানানো জানত। সাতেরো শতকে মাঝামাঝি কেক ওভেনের আবিষ্কার ও কেকের আকার গোলাকার হয় । মিসেস বিটন বলে একজন মহিলা ক্রিসমাসের কেকের রেসিপি লিখে গিয়েছেন। 

কোলকাতায় প্রথম বিখ্যাত দোকান নাহুম । সেই ব্রিটিশ আমলে এই দোকান ১৯৬০ সালে আর্চবিশপ অফ ক্যান্টারবেরি জিওফ্রে ফিশার এখানকার কেক খেয়ে সেরা কেকের তকমা দিয়েছিলেন ‌।

ছবি সুত্র - internet ছবিতে যে কেকের ছবিগুলো রয়েছে সেগুলো হল মিসেস বিটনের বানানো কেক

তথ্য সুত্র - শ্রী কৌশিক মজুমদার প্রণীত " নোলা "

এবং শ্রী ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী রচিত " Food কাহিনী "




 

Comments